কেএম জহুরুল হক জনি, ফুলছড়ি গাইবান্ধা: নিখোঁজের নয় দিন পর বগুড়ার আদমদিঘী থেকে ধান চাল ব্যবসায়ী সোলাইমান সরকারের ট্রেন কাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের পরিবারে চলছে কান্নার আহাজারি। গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের ধান চাতাল মিল ব্যবসায়ী সোলায়মান সরকার (৫১) পিতাঃ মৃত মনসুর আলী, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে বাড়ির অদূরে অবস্থিত দক্ষিণ বুড়াইল (কল্ল‌্যাবেড় জামে মস‌জি‌দ) এ রওনা দিলে সে‌দিন থেকে আর বাড়ি ফেরে নাই তি‌নি । গত ৯ দিন ধরে ওই ধান চাতাল মিল ব্যবসায়ি নিখোঁজ ছিলেন।নিহত সোলায়মান সরকারের জীবিত ফিরে পেতে গত ৯ ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১২ ঘটিকার সময় ফুলছড়ি উপজেলা গেটের সামনের রাস্তায় ঘন্টাব্যাপী নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী মিলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ।

মানববন্ধনে অংশ নেন নিখোঁজ ব্যবসায়ি পরিবার, এলাকাবাসী,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।মানববন্ধনে নিখোঁজ সোলাইমান সরকারের সন্ধানে জোর দাবি জানান এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা।এ ব্যাপারে তারা নিখোঁজ সোলায়মান সরকারকে জীবিত উদ্ধার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু ১১-০২-২০২৩ইং শনিবার সকালে নিখোঁজ সোলায়মান সরকারের পরিবার যানতে পারে যে তাকে বগুড়ার আদমদিঘীতে রেল লাইনের পাশে ট্রেনে কাটা পড়া অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেছে, এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এ সময় নিহত সোলায়মান সরকার এর স্ত্রী, মেয়েরা ও ভাই, বোন পাড়া প্রতিবেশী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নিহত ব্যক্তির জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ফুলছড়ি থানায় সন্ধান চেয়ে নিখোঁজ সোলাইমান সরকার এর ছোট ভাই আব্দুর রউফ বাদি হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওসার আলী জানান আমারা আমাদের তদন্তের কোনো গ্যাপ রাখিনি, আমরা নিহত নিখোঁজ সোলায়মান সরকারকে সুস্থ অবস্থায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আইনি ভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম।নিহত নিখোঁজ সোলায়মান সরকারের সম্পর্কে বগুড়া জিআরপি-থানা পুলিশের ওসি বলেন, লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সিআইডি,পিবিআই ও আমরা তদন্ত করছি।